পোশাক শিল্পে শ্রমিক নয়, বহিরাগতরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ

  • আপডেট: ১২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 41

ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন স্থানে পোশাক তৈরি কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানায় যেসব শ্রমিক আন্দোলন হচ্ছে, তার পেছনে বহিরাগতদের দায়ী করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

তিনি বলেছেন, চারদিকে যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, বিশৃঙ্খলা হচ্ছে, এগুলো শ্রমিকরা করছেন না। যারা করছেন তাদের অধিকাংশই বহিরাগত। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এ এফ হাসান আরিফ।

উপদেষ্টা বলেন, ‘চারদিকে যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, তা নিয়ে আজ আমরা বৈঠক করেছি। প্রকৃত শ্রমিক যারা, তারা কেউ নিজের বাড়ি পোড়াবে না, কারণ এখানে তার জীবিকা। আমরা খবর পাচ্ছি, বহিরাগতরা এসে এগুলো করেছে।

এ সময় শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আপনারা বাধা দেন, আপনারা তাদের বাধা দিলে আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকবো। এমনভাবে তারা মিশে আছে, যে তাদের আলাদা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

হাসান আরিফ এরপর সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা খেয়াল করে থাকবেন, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারখানা, সেগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণ কোম্পানির কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের কোনোদিন শ্রমিক বিশৃঙ্খলা ছিল না। কিন্তু এই কোম্পানি যেহেতু দিনকে দিন বিশ্ব ছেয়ে ফেলছে, তাহলে এটা যদি নষ্ট হয়, তাহলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় কারখানা নষ্ট হয়ে গেলে কার লাভ হবে? কাজেই শ্রমিকরা কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যারা করছেন, তাদের অধিকাংশই বহিরাগত। তাদের মোকাবিলা করতে আমাদের একটু কঠিন হতে হবে। আমরা মনে রেখেছি, সরকার কোনো সময় তার নাগরিকের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করবে না, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছু সংখ্যকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সে ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হয়েছে।

কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সে বিষয়ে আরও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। তারা গ্রেপ্তার কিংবা আটক হতে পারেন। ৫০ জন রাস্তায় বসে পড়লে পাঁচ লাখ মানুষের অসুবিধা হবে। কাজেই তাদের সরাতে যদি বলপ্রয়োগ করতে হয়, করা হবে।

জরুরি বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রমুখ।

Tag :

পোশাক শিল্পে শ্রমিক নয়, বহিরাগতরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ

আপডেট: ১২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে পোশাক তৈরি কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানায় যেসব শ্রমিক আন্দোলন হচ্ছে, তার পেছনে বহিরাগতদের দায়ী করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

তিনি বলেছেন, চারদিকে যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, বিশৃঙ্খলা হচ্ছে, এগুলো শ্রমিকরা করছেন না। যারা করছেন তাদের অধিকাংশই বহিরাগত। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এ এফ হাসান আরিফ।

উপদেষ্টা বলেন, ‘চারদিকে যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, তা নিয়ে আজ আমরা বৈঠক করেছি। প্রকৃত শ্রমিক যারা, তারা কেউ নিজের বাড়ি পোড়াবে না, কারণ এখানে তার জীবিকা। আমরা খবর পাচ্ছি, বহিরাগতরা এসে এগুলো করেছে।

এ সময় শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আপনারা বাধা দেন, আপনারা তাদের বাধা দিলে আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকবো। এমনভাবে তারা মিশে আছে, যে তাদের আলাদা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

হাসান আরিফ এরপর সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা খেয়াল করে থাকবেন, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারখানা, সেগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণ কোম্পানির কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের কোনোদিন শ্রমিক বিশৃঙ্খলা ছিল না। কিন্তু এই কোম্পানি যেহেতু দিনকে দিন বিশ্ব ছেয়ে ফেলছে, তাহলে এটা যদি নষ্ট হয়, তাহলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় কারখানা নষ্ট হয়ে গেলে কার লাভ হবে? কাজেই শ্রমিকরা কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যারা করছেন, তাদের অধিকাংশই বহিরাগত। তাদের মোকাবিলা করতে আমাদের একটু কঠিন হতে হবে। আমরা মনে রেখেছি, সরকার কোনো সময় তার নাগরিকের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করবে না, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছু সংখ্যকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সে ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হয়েছে।

কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সে বিষয়ে আরও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। তারা গ্রেপ্তার কিংবা আটক হতে পারেন। ৫০ জন রাস্তায় বসে পড়লে পাঁচ লাখ মানুষের অসুবিধা হবে। কাজেই তাদের সরাতে যদি বলপ্রয়োগ করতে হয়, করা হবে।

জরুরি বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রমুখ।