০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজানাথের ধৃষ্টতামূলক বক্তব্যের পরই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা

  • আপডেট: ০২:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 17

বাংলাদেশকে ইঙ্গিত করে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজানাথ সিংহের চরম ধৃষ্টতামূলক বক্তব্যের মধ্যেই চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে একদল উগ্রপন্থী হিন্দু। রাতের আধারে তারা জয়শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর হামলার চেষ্টাও করে। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তাদের ত্বরিত হস্তক্ষেপের কারণে উগ্রপন্থীদের অপচেষ্টা ভন্ডুল হয়ে যায়।

তবে এই উগ্রপন্থীদের সাথে সাধারণ সনাতনী হিন্দুদের কোন সম্পর্ক নেই। জানা গেছে রাতে র বেলায় মূর্তি পরিবহন এবং কথিত পানি মারার অভিযোগ একটি বাহানা মাত্র। তাদের মূল উদ্দেশ্য বিশৃঙ্খল করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করা। নগরীর মোমিন রোড দিয়ে গণেশ পূজার প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় পানি নিক্ষেপের অভিযোগকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাতে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রাত ১১ টার দিকে কদম মোবারক এতিমখানা এলাকার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রাতে হাজারী গলি থেকে ব্যাটারি গলি এলাকায় ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। প্রতিমা যারা নিচ্ছিলেন তাদের অভিযোগ, ভ্যানটি কদম মোবারক এতিমখানা এলাকার সামনে এলে উপরের ভবন থেকে প্রতিমায় পানি নিক্ষেপ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ অভিযোগের পর কয়েকজন তরুণ এতিমখানার ভবনে উঠে যান। এরপর দুই পক্ষ থেকেই মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসে। এই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যে কদম মোবারক এতিমখানা ও চেরাগির মোড় এলাকায় কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসেন সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। তারা বিক্ষুব্ধ মানুষকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকায় অপ্রীতিকর আর কিছু ঘটেনি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

রাজানাথের ধৃষ্টতামূলক বক্তব্যের পরই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা

আপডেট: ০২:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশকে ইঙ্গিত করে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজানাথ সিংহের চরম ধৃষ্টতামূলক বক্তব্যের মধ্যেই চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে একদল উগ্রপন্থী হিন্দু। রাতের আধারে তারা জয়শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর হামলার চেষ্টাও করে। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তাদের ত্বরিত হস্তক্ষেপের কারণে উগ্রপন্থীদের অপচেষ্টা ভন্ডুল হয়ে যায়।

তবে এই উগ্রপন্থীদের সাথে সাধারণ সনাতনী হিন্দুদের কোন সম্পর্ক নেই। জানা গেছে রাতে র বেলায় মূর্তি পরিবহন এবং কথিত পানি মারার অভিযোগ একটি বাহানা মাত্র। তাদের মূল উদ্দেশ্য বিশৃঙ্খল করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করা। নগরীর মোমিন রোড দিয়ে গণেশ পূজার প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় পানি নিক্ষেপের অভিযোগকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাতে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রাত ১১ টার দিকে কদম মোবারক এতিমখানা এলাকার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রাতে হাজারী গলি থেকে ব্যাটারি গলি এলাকায় ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। প্রতিমা যারা নিচ্ছিলেন তাদের অভিযোগ, ভ্যানটি কদম মোবারক এতিমখানা এলাকার সামনে এলে উপরের ভবন থেকে প্রতিমায় পানি নিক্ষেপ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ অভিযোগের পর কয়েকজন তরুণ এতিমখানার ভবনে উঠে যান। এরপর দুই পক্ষ থেকেই মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসে। এই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যে কদম মোবারক এতিমখানা ও চেরাগির মোড় এলাকায় কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসেন সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। তারা বিক্ষুব্ধ মানুষকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকায় অপ্রীতিকর আর কিছু ঘটেনি।