রাজশাহীতে নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চার নারী ও আট ভুয়া সাংবাদিকসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে চার তরুণের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ভুক্তভোগী ওই চারজনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ১২ নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে থানায় মামল করেছে।
বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার পর এমন একটি ঘটনার সময় বাড়ির মালিক বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাদেরকে গ্রেফাতারের অভিযান চালায়।
গ্রেফতার হওয়া আট ভুয়া সাংবাদিক হলেন নগরীর মোল্লাপাড়া এলাকার মো: কাউসার (২৩), ছোটবনগ্রামের মানিক সাধন (৩০), হড়গ্রাম পূর্বপাড়ার মো: রহমত (২২), একই এলাকার কাউসার আলী (২৩), হেতেমখাঁ এলাকার মোহাম্মদ রতন (২০), ফুদকিপাড়া এলাকার মো: শাকিল (২৪), হড়গ্রাম শেখপাড়ার মো: সালাউদ্দিন (৩৬) ও লক্ষ্ণীপুর ভাটাপাড়ার আশিক হাসান (২৩)।
এদের মধ্যে পাঁচজন দৈনিক দেশ নামের একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া একজন দৈনিক নববাণী ও দুজন ডিডিপি টিভির সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
গ্রেফতার চার নারী হলেন মোসা: সুমি (২৬), মোসা: শম্পা (২০), প্রিয়াঙ্কা খাতুন (২১) ও পপি (৩৪)।
পুলিশ জানিয়েছে, এই চার নারী শাহমখদুম থানা এলাকায় কৃষি ব্যাংক-সংলগ্ন একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করতেন। এই চক্রের সদস্য ওই আট ভুয়া সাংবাদিক। ওই নারীরা কৌশলে টার্গেটকৃত লোকজনকে বাসায় নিয়ে তাদের সাথে আপত্তিকর ছবি তুলতেন। তারপর ওই ভুয়া সাংবাদিকেরা হঠাৎ হাজির হয়ে পত্রিকায় ছবি ছাপিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন। গত বুধবার সন্ধ্যার পর এমন একটি ঘটনার সময় বাড়ির মালিক বিষয়টি টের পেয়ে যান। পরে তিনি থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। একইসাথে আট ভুয়া সাংবাদিক ও চার নারীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে। পরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।