অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্টের মেয়ে

  • আপডেট: ০৮:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 19

সরকার বিরোধী আন্দোলনে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ও দুই বছর কারাবাসের পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আকবর হাশেমি রাফসানজানির মেয়ে ফায়েজেহ হাশেমি রাফসানজানি (৬১)। ফায়েজেহ ইরানের একজন মানবাধিকার কর্মী এবং দেশটির সাবেক এমপি।

গতকাল বুধবার তাকে তেহরানের একটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে এএফপিকে জানিয়েছেন ফায়েজেহর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসাইন আঘাসি।

এর আগে ইরানের ইসলামি শাসকগোষ্ঠী নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগে ২০১২ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ফায়েজেহ। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাকে ৫ বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছিলেন আদালত। সেই সাজা খেটে ২০১৭ সালে মুক্ত হন তিনি।

২০২২ সালের হিজাব ঠিকমতো না পরার অভিযোগে ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মাশা আমিনি নামের এক ২১ বছরের তরুণীকে আটক করে হেফাজতে নেয় ইরানের নীতি পুলিশ। সেখানে নির্যাতনে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মাশাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় বিক্ষোভে রীতিমতো ফেটে পড়েন ইরানের সাধারণ জনগণ এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন তারা। প্রায় এক বছর স্থায়ী হওয়া সেই আন্দোলনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আক্ষরিক অর্থেই তা দেশটির ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থিদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল।

সরকারবিরোধী সেই আন্দোলনকে সমর্থন করার দায়ে ২০২২ সালে গ্রেপ্তার হন ফায়েজেহ। এবারও আদালত তাকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছিলেন। তবে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সেই সাজা মওকুফ করেছে।

ফায়েজেহ হাশেমি রাফসানজানির বাবা আকবর হাশেমি রাফসানজানি ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। নিজের মেয়াদের পুরো সময় পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করেছেন তিনি।

সূত্র : এএফপি

Tag :

অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্টের মেয়ে

আপডেট: ০৮:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকার বিরোধী আন্দোলনে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ও দুই বছর কারাবাসের পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আকবর হাশেমি রাফসানজানির মেয়ে ফায়েজেহ হাশেমি রাফসানজানি (৬১)। ফায়েজেহ ইরানের একজন মানবাধিকার কর্মী এবং দেশটির সাবেক এমপি।

গতকাল বুধবার তাকে তেহরানের একটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে এএফপিকে জানিয়েছেন ফায়েজেহর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসাইন আঘাসি।

এর আগে ইরানের ইসলামি শাসকগোষ্ঠী নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগে ২০১২ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ফায়েজেহ। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাকে ৫ বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছিলেন আদালত। সেই সাজা খেটে ২০১৭ সালে মুক্ত হন তিনি।

২০২২ সালের হিজাব ঠিকমতো না পরার অভিযোগে ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মাশা আমিনি নামের এক ২১ বছরের তরুণীকে আটক করে হেফাজতে নেয় ইরানের নীতি পুলিশ। সেখানে নির্যাতনে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মাশাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় বিক্ষোভে রীতিমতো ফেটে পড়েন ইরানের সাধারণ জনগণ এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন তারা। প্রায় এক বছর স্থায়ী হওয়া সেই আন্দোলনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আক্ষরিক অর্থেই তা দেশটির ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থিদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল।

সরকারবিরোধী সেই আন্দোলনকে সমর্থন করার দায়ে ২০২২ সালে গ্রেপ্তার হন ফায়েজেহ। এবারও আদালত তাকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছিলেন। তবে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সেই সাজা মওকুফ করেছে।

ফায়েজেহ হাশেমি রাফসানজানির বাবা আকবর হাশেমি রাফসানজানি ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। নিজের মেয়াদের পুরো সময় পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করেছেন তিনি।

সূত্র : এএফপি