টাঙ্গাইলে বাবাকে হত্যার করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখল ছেলে

  • আপডেট: ০৩:৫৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 45

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের নাম শামসুল মিয়া (৭৫) পেশায় দলিল লেখক ছিলেন। তার একমাত্র ছেলের নাম সাত্তার মিয়া।

নিহতের ভাতিজা লেবু মিয়া বলেন, গত শুক্রবার রাত থেকে চাচা (শামসুল আলম) নিখোঁজ ছিলেন। একসঙ্গে একমাত্র ছেলে সাত্তার মিয়াও বাড়ি থেকে উধাও। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চাচাকে না পেয়ে আমরা সোমবার দেলদুয়ার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাতে সাত্তারের ফোন খোলা পেয়ে আমরা বাড়ি আসতে বলি। রাতে বাড়িতে এলে স্থানীয়রা সাত্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি স্বীকারোক্তিতে জানান, বাবাকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে রেখে পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত সাত্তার মিয়াকে আটক করেন।

সাত্তার মিয়া বলেন, আমার বাবা আমার পরিবারকে আলাদা করে দিয়েছে। আমি ঠিকমতো সংসার চালাতে পারি না। শনিবার রাত ২টার সময় আমার ক্ষুধা লাগলে আমি আমার বাবার ঘরে যাই। বাবা ঘরে কেন এসেছি, তার কারণ জিজ্ঞেস করেন। তখন তার কাছে টাকা চাই। তিনি দিতে অস্বীকার করলে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার ওপরে উঠে বসি ও হাত দিয়ে গলা চেপে ধরি। পরে একটি ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ধরলে তিনি মারা যান। ভয় পেয়ে লাশ সেপটিক ট্যাংকে রেখে আমি পালিয়ে যাই।

ওসি সোয়েব খান বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Tag :

টাঙ্গাইলে বাবাকে হত্যার করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখল ছেলে

আপডেট: ০৩:৫৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের নাম শামসুল মিয়া (৭৫) পেশায় দলিল লেখক ছিলেন। তার একমাত্র ছেলের নাম সাত্তার মিয়া।

নিহতের ভাতিজা লেবু মিয়া বলেন, গত শুক্রবার রাত থেকে চাচা (শামসুল আলম) নিখোঁজ ছিলেন। একসঙ্গে একমাত্র ছেলে সাত্তার মিয়াও বাড়ি থেকে উধাও। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চাচাকে না পেয়ে আমরা সোমবার দেলদুয়ার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাতে সাত্তারের ফোন খোলা পেয়ে আমরা বাড়ি আসতে বলি। রাতে বাড়িতে এলে স্থানীয়রা সাত্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি স্বীকারোক্তিতে জানান, বাবাকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে রেখে পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত সাত্তার মিয়াকে আটক করেন।

সাত্তার মিয়া বলেন, আমার বাবা আমার পরিবারকে আলাদা করে দিয়েছে। আমি ঠিকমতো সংসার চালাতে পারি না। শনিবার রাত ২টার সময় আমার ক্ষুধা লাগলে আমি আমার বাবার ঘরে যাই। বাবা ঘরে কেন এসেছি, তার কারণ জিজ্ঞেস করেন। তখন তার কাছে টাকা চাই। তিনি দিতে অস্বীকার করলে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার ওপরে উঠে বসি ও হাত দিয়ে গলা চেপে ধরি। পরে একটি ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ধরলে তিনি মারা যান। ভয় পেয়ে লাশ সেপটিক ট্যাংকে রেখে আমি পালিয়ে যাই।

ওসি সোয়েব খান বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।