বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮, পার্টি অফিস ভাংচুর

  • আপডেট: ০১:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • 43

মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও পার্টি অফিস ভাংচুর করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার সকাল ১১ টা ও বিকাল ৩ টায় উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে পৃথক বিএনপির দুটি পাটি অফিস ভাংচুর করা হয়।
জানা গেছে, নেতাকর্মীকে ঘরের আটক রাখাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল গ্রপের নেতাকর্মীরা উপজেলার বিএনপির সভাপতি নজির হোসেনের সমর্থনে তিন কোণা সংলগ্ন পার্টি অফিসের কার্যালয়টি ভাংচুর করেন । অপর দিকে উপজেলা গ্রেট সংলগ্ন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান গ্রুপের পার্টি অফিসে হামলা চালায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির হোসেনের গ্রুপের নেতাকর্মীরা ।

এ সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করায় সাধারন মানুষ আতংক হয়ে পড়ে। ভয়ে সাধারণ লোকজন বিভিন্ন দোকান পাঠ ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন।

তবে নেতাকর্মী জানিয়েছেন, উপজেলা বিএনপির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের বাবার নামাজের জানাজায় অংশ গ্রহণ করার জন্য উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুলের সমর্থক ও বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার কিছু লোকজন প্রস্তুতি নেন। ওই ছিটের কিছু নেতাকর্মী নাওডাঙ্গা পুলের পাড় আসলে সেখানে নজির হোসেনের গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। এ নিয়ে ছিটমহলের লোকজন উপর মারপিট করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক লোকজনকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে নজির গ্রুপের বিএনপির পার্টি অফিসে হামলা হয়। পরে নজির গ্রুপের লোকজন এক সাথে মিলিত হয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুলের পার্টি অফিস ভাংচুর করে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফুলবাড়ী সদরের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করছেন। ফলে এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার
আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

উপজেলার বিএনপির সভাপতি নজির হোসেনের সর্মথকও উপজেলা সাবেক যুবদলের সভাপতি সামছুজামান হাসু জানান, বিলুপ্ত ছিটমহলের আওয়ামীরীগের কিছু লোকজনকে দলে অন্তর্ভুক্ত করায় বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে । আমাদের তিনজন ছেলে আহত হয়েছে। পাটি অফিসেও ভাংচুর করেছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, নজির হোসেনের গ্রুপের লোকজন অর্তকিত ভাবে এসে আমাদের পার্টি অফিস ভাংচুর করেছে। তারা প্রথমে আমাদের নেতাকর্মীকে ঘরে ভিতরের আটক করেছে। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন । এ সময় ৫ জন নেতাকর্মীকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বিএনপির একটি গ্রুপের লোকজনকে ঘরে ভিতরে আটক করে রাখে। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে দুই গ্রুপে পৃথক হামলা চালিয়ে পার্টি অফিস ভাংচুর করেছে । বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পযর্ন্ত থানায় কোন পক্ষ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার হুমায়রা জানান, হাসপাতালে চারজন আহত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Tag :

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮, পার্টি অফিস ভাংচুর

আপডেট: ০১:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও পার্টি অফিস ভাংচুর করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার সকাল ১১ টা ও বিকাল ৩ টায় উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে পৃথক বিএনপির দুটি পাটি অফিস ভাংচুর করা হয়।
জানা গেছে, নেতাকর্মীকে ঘরের আটক রাখাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল গ্রপের নেতাকর্মীরা উপজেলার বিএনপির সভাপতি নজির হোসেনের সমর্থনে তিন কোণা সংলগ্ন পার্টি অফিসের কার্যালয়টি ভাংচুর করেন । অপর দিকে উপজেলা গ্রেট সংলগ্ন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান গ্রুপের পার্টি অফিসে হামলা চালায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির হোসেনের গ্রুপের নেতাকর্মীরা ।

এ সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করায় সাধারন মানুষ আতংক হয়ে পড়ে। ভয়ে সাধারণ লোকজন বিভিন্ন দোকান পাঠ ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন।

তবে নেতাকর্মী জানিয়েছেন, উপজেলা বিএনপির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের বাবার নামাজের জানাজায় অংশ গ্রহণ করার জন্য উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুলের সমর্থক ও বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার কিছু লোকজন প্রস্তুতি নেন। ওই ছিটের কিছু নেতাকর্মী নাওডাঙ্গা পুলের পাড় আসলে সেখানে নজির হোসেনের গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। এ নিয়ে ছিটমহলের লোকজন উপর মারপিট করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক লোকজনকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে নজির গ্রুপের বিএনপির পার্টি অফিসে হামলা হয়। পরে নজির গ্রুপের লোকজন এক সাথে মিলিত হয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুলের পার্টি অফিস ভাংচুর করে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফুলবাড়ী সদরের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করছেন। ফলে এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার
আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

উপজেলার বিএনপির সভাপতি নজির হোসেনের সর্মথকও উপজেলা সাবেক যুবদলের সভাপতি সামছুজামান হাসু জানান, বিলুপ্ত ছিটমহলের আওয়ামীরীগের কিছু লোকজনকে দলে অন্তর্ভুক্ত করায় বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে । আমাদের তিনজন ছেলে আহত হয়েছে। পাটি অফিসেও ভাংচুর করেছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, নজির হোসেনের গ্রুপের লোকজন অর্তকিত ভাবে এসে আমাদের পার্টি অফিস ভাংচুর করেছে। তারা প্রথমে আমাদের নেতাকর্মীকে ঘরে ভিতরের আটক করেছে। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন । এ সময় ৫ জন নেতাকর্মীকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বিএনপির একটি গ্রুপের লোকজনকে ঘরে ভিতরে আটক করে রাখে। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে দুই গ্রুপে পৃথক হামলা চালিয়ে পার্টি অফিস ভাংচুর করেছে । বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পযর্ন্ত থানায় কোন পক্ষ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার হুমায়রা জানান, হাসপাতালে চারজন আহত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।