সুনামগঞ্জ মা-ছেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

  • আপডেট: ০৭:১২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • 14

ছবি : ইন্টারনেট

সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর আবাসিক এলাকার এসপির বাংলো সংলগ্ন একটি বাসা থেকে মা-ছেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন ফরিদা বেগম (৫০) ও তার ছেলে মিনহাজ (২০)।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর থেকে বাসার পাশের ইউনিটের ভাড়াটিয়া ও নিহত ফরিদা বেগমের খালাতো বোনের দুই ছেলে ফয়সল ও ফাহমিদ নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ দু’জনের মা নার্গিস বেগমকে (৬০) অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শহরের এসপির বাংলো সংলগ্ন একতলা টিনশেড বাসার দু’টি ইউনিটে ভাড়া থাকতেন ফরিদা বেগম ও নার্গিস বেগম। তারা সম্পর্কে খালাতো বোন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কাজের মহিলা নূরজাহান বাসায় এসে প্রধান ফটক খোলা পেয়ে ভেতরে ঢুকেন। এসময় গ্রিলের ফাঁক দিয়ে তিনি দেখতে পান, ফরিদা বেগমের ছেলে মিনহাজের রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান তিনি। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মা ও ছেলের কোপানো লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। এর পাশেই অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন প্রতিবেশী নার্গিস বেগম। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। লাশের পাশে একটি রক্তাক্ত বটি পড়ে ছিল, সেটি জব্ধ করা হয়েছে।

পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

Tag :

সুনামগঞ্জ মা-ছেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

আপডেট: ০৭:১২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর আবাসিক এলাকার এসপির বাংলো সংলগ্ন একটি বাসা থেকে মা-ছেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন ফরিদা বেগম (৫০) ও তার ছেলে মিনহাজ (২০)।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর থেকে বাসার পাশের ইউনিটের ভাড়াটিয়া ও নিহত ফরিদা বেগমের খালাতো বোনের দুই ছেলে ফয়সল ও ফাহমিদ নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ দু’জনের মা নার্গিস বেগমকে (৬০) অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শহরের এসপির বাংলো সংলগ্ন একতলা টিনশেড বাসার দু’টি ইউনিটে ভাড়া থাকতেন ফরিদা বেগম ও নার্গিস বেগম। তারা সম্পর্কে খালাতো বোন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কাজের মহিলা নূরজাহান বাসায় এসে প্রধান ফটক খোলা পেয়ে ভেতরে ঢুকেন। এসময় গ্রিলের ফাঁক দিয়ে তিনি দেখতে পান, ফরিদা বেগমের ছেলে মিনহাজের রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান তিনি। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মা ও ছেলের কোপানো লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। এর পাশেই অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন প্রতিবেশী নার্গিস বেগম। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। লাশের পাশে একটি রক্তাক্ত বটি পড়ে ছিল, সেটি জব্ধ করা হয়েছে।

পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।