নেত্রকোনার একটি গরুর খামারে গত তিনদিনে ২৭ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। কোরবানির পশুগুলো ঈদের বাজারে নেয়ার আগেই মৃত্যুর কারণে দিশেহারা মালিক। জেলার পূর্বধলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের তাহাযীদ এগ্রো ফার্মে এই ক্ষতির ঘটনাটি ঘটে।
গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জাহেরুল ইসলাম নামের খামার মালিকের তিনটি খামারে এই ক্ষতি হয়। আরও পাঁচটি গরু অসুস্থ রয়েছে। খবর পেয়ে নেত্রকোনা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্তকর্তারা খামার পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। এছাড়াও একটি মেডিকেল টিম দিয়েছেন খামারে।
জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবার রাতে গরুকে কাঁচা ঘাস দেয়। পরেরদিন রবিবার থেকে গুরুগুলো অসুস্থ হতে থাকে। এরপর সোমবার পর্যন্ত দিনব্যাপী একে একে ১৩ টি গরু মারা যাওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে পড়েন মালিক। চিকিৎসা দিতে দিতে মঙ্গলবার দিনসহ সারা রাতে আরও ১১ টি গুরুর মৃত্য হয়। এরপর বুধবার সকাল পর্যন্ত আরও তিনটি গরু মারা যায়।
এ ঘটনায় বুধবার (১২ জন) সকাল থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা গিয়ে হাজির হন ওই খামারে। ছোট বড় বিভিন্ন দামের ২৭ গরুর মৃত্যুতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে ঈদের আগে এমন ক্ষতিতে দিশেহারা ফার্ম মালিক। মৃত ২৭ গরুর মধ্যে গাভী দুটি ও বাছুর দুটি। বাকীগুলো সব ষাঁড় ছিলো।
খামারের মালিক জাহেরুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তার ফার্মের গরুগুলোকে নেপিয়ার কাঁচা সবুজ ঘাস খাওয়ান। এরপর রবিবার থেকে গরুগুলো অসুস্থ হতে থাকে। ধীরে ধীরে অসুস্থ হওয়া গরুগুলো এক এক করে মরতে শুরু করে। খামারে মোট ১০৭ টি বিভিন্ন বয়সের গরু ছিলো। তারমধ্যে ১৪ টিই বিক্রিযোগ্য ষাঁড় গুরু ছিলো। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এই ক্ষতিগ্রস্থ খামারি।
এদিকে পরিদর্শনকালে প্রাণিসম্পদের উপ সহকারী গোপাল চন্দ্র সরকার বলেন, নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টির দিনে কাঁচা ঘাসে নাইট্রোজেনের মাত্রা বেশি থাকার ফলে ঘাসের নাইট্রেট বিষক্রিয়ায় গরুগুলো মারা যেতে পারে। এ ব্যাপারে খামারির সাথে মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে এবং খোঁজ খবর রাখছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।