০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বিপজ্জনক গ্রহাণু’ আঘাত হানতে পারে পৃথিবীতে

  • আপডেট: ০৮:৪৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • 25

পৃথিবীতে সম্ভাব্য ‘বিপজ্জনক’ একটি গ্রহাণুর আঘাত হানার ৭২ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে। এটি প্রতিহত করার মতো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এখনো পর্যন্ত নেই। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার একটি অনুমানভিত্তিক পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।

মহাকাশ সংস্থাটির অফিসিয়াল প্রতিবেদন অনুসারে, নাসা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পৃথিবী সুরক্ষায় পঞ্চম দ্বিবার্ষিক প্ল্যানেটারি ডিফেন্স ইন্টারএজেন্সি টেবলটপ এক্সারসাইজ পরিচালনা করেছিল। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নাসার মেরিল্যান্ডের লরেলের জনস হপকিন্স অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরিতে অনুষ্ঠিত আলোচনার ফল প্রকাশ করা হয়। নাসা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীদের প্রায় এক’শ প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

নিকট ভবিষ্যতে কোনো উল্লেখযোগ্য গ্রহাণুর হুমকি না থাকলেও, সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণুর হুমকি মোকাবিলায় কার্যকর ভাবে পৃথিবীর সব দেশের যৌথ কর্মপদ্ধতি সেখানে গুরুত্ব পায়। যৌথ পর্যালোচনায় বলা হয়, পৃথিবীতে ওই গ্রহাণুর আঘাত করার আশঙ্কা রয়েছে ৭২ শতাংশ।

১৪ বছর পর ২০৩৮ সালের ১২ জুলাই সেটি পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। এই ধরণিতে বিবাদমান সব জাতি রাষ্ট্রের হাতে এখনও প্রায় ১৪ বছর ৩ মাস সময় রয়েছে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নেয়ার। তবে প্রাথমিক এই পর্যবেক্ষণ থেকে ওই গ্রহাণুর আকার, গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদী গতিপথ সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি বলেও জানিয়েছে নাসা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘বিপজ্জনক গ্রহাণু’ আঘাত হানতে পারে পৃথিবীতে

আপডেট: ০৮:৪৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

পৃথিবীতে সম্ভাব্য ‘বিপজ্জনক’ একটি গ্রহাণুর আঘাত হানার ৭২ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে। এটি প্রতিহত করার মতো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এখনো পর্যন্ত নেই। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার একটি অনুমানভিত্তিক পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।

মহাকাশ সংস্থাটির অফিসিয়াল প্রতিবেদন অনুসারে, নাসা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পৃথিবী সুরক্ষায় পঞ্চম দ্বিবার্ষিক প্ল্যানেটারি ডিফেন্স ইন্টারএজেন্সি টেবলটপ এক্সারসাইজ পরিচালনা করেছিল। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নাসার মেরিল্যান্ডের লরেলের জনস হপকিন্স অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরিতে অনুষ্ঠিত আলোচনার ফল প্রকাশ করা হয়। নাসা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীদের প্রায় এক’শ প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

নিকট ভবিষ্যতে কোনো উল্লেখযোগ্য গ্রহাণুর হুমকি না থাকলেও, সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণুর হুমকি মোকাবিলায় কার্যকর ভাবে পৃথিবীর সব দেশের যৌথ কর্মপদ্ধতি সেখানে গুরুত্ব পায়। যৌথ পর্যালোচনায় বলা হয়, পৃথিবীতে ওই গ্রহাণুর আঘাত করার আশঙ্কা রয়েছে ৭২ শতাংশ।

১৪ বছর পর ২০৩৮ সালের ১২ জুলাই সেটি পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। এই ধরণিতে বিবাদমান সব জাতি রাষ্ট্রের হাতে এখনও প্রায় ১৪ বছর ৩ মাস সময় রয়েছে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নেয়ার। তবে প্রাথমিক এই পর্যবেক্ষণ থেকে ওই গ্রহাণুর আকার, গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদী গতিপথ সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি বলেও জানিয়েছে নাসা।