উচ্চ আয়সম্পন্ন দেশ হল রাশিয়া

  • আপডেট: ০১:০৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • 37

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরই পশ্চিমী দেশগুলি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় রাশিয়ার উপরে। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় আড়াই বছর। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল মস্কোকে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া এখন বিশ্বের ‘উচ্চ আয়সম্পন্ন দেশ’। এতদিন রাশিয়াকে উচ্চ-মধ্য আয়সম্পন্ন দেশের শ্রেণিভুক্ত করা হত।

 

প্রসঙ্গত, যে দেশের নাগরিকদের বার্ষিক ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা আয়, তাদের উচ্চ আয়সম্পন্ন দেশের তালিকায় রাখা হয়। অর্থাৎ বর্তমানে রাশিয়ার ছবিটা এমনই। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কী করে এমন কীর্তি গড়তে পারল রাশিয়া? একদিকে বাণিজ্যেক পরিসর খর্ব হওয়া, অন্যদিকে যুদ্ধের ব্যয়ভারের চাপ সামলেও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়া এড়াতে পারল পুতিনের দেশ!

 

এক্ষেত্রে পুতিন প্রশাসনকেই কৃতিত্ব দিতে চান বিশেষজ্ঞরা। তবে এক্ষেত্রে যুদ্ধই একটা ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। আসলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ বাড়াতে হয়েছে মস্কোকে। আর সেই কারণে দেশের গরিব ও কর্মহীনদের সেনায় নিযুক্ত করার পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। এর ফলে বাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের রোজগার। রুশ ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে, সেনার পক্ষ থেকে বিপুল অর্থ জমা পড়েছে সেখানে।

 

পাশাপাশি গত বছর রাশিয়ার বাণিজ্যও সাত শতাংশ বেড়েছে। রুশ অর্থনীতিবিদরা দাবি করছেন, চীন ছাড়া আর কোনও দেশের পক্ষে এমন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এই উন্নতি সম্ভব হত না। আলেকজান্ডার ডানকিন নামের এক অর্থনীতিবিদ মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ”আমরা শক্তির উৎসের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর। খাদ্য ও কাঁচা মালের ক্ষেত্রেও তাই। তাছাড়া আমাদের দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। বিজ্ঞানেও বিশ্বমানের।” সব মিলিয়ে এই আত্মবিশ্বাস ও পুতিনের সঠিক কৌশলেই বাজিমাত রাশিয়ার, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Tag :

উচ্চ আয়সম্পন্ন দেশ হল রাশিয়া

আপডেট: ০১:০৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরই পশ্চিমী দেশগুলি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় রাশিয়ার উপরে। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় আড়াই বছর। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল মস্কোকে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া এখন বিশ্বের ‘উচ্চ আয়সম্পন্ন দেশ’। এতদিন রাশিয়াকে উচ্চ-মধ্য আয়সম্পন্ন দেশের শ্রেণিভুক্ত করা হত।

 

প্রসঙ্গত, যে দেশের নাগরিকদের বার্ষিক ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা আয়, তাদের উচ্চ আয়সম্পন্ন দেশের তালিকায় রাখা হয়। অর্থাৎ বর্তমানে রাশিয়ার ছবিটা এমনই। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কী করে এমন কীর্তি গড়তে পারল রাশিয়া? একদিকে বাণিজ্যেক পরিসর খর্ব হওয়া, অন্যদিকে যুদ্ধের ব্যয়ভারের চাপ সামলেও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়া এড়াতে পারল পুতিনের দেশ!

 

এক্ষেত্রে পুতিন প্রশাসনকেই কৃতিত্ব দিতে চান বিশেষজ্ঞরা। তবে এক্ষেত্রে যুদ্ধই একটা ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। আসলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ বাড়াতে হয়েছে মস্কোকে। আর সেই কারণে দেশের গরিব ও কর্মহীনদের সেনায় নিযুক্ত করার পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। এর ফলে বাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের রোজগার। রুশ ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে, সেনার পক্ষ থেকে বিপুল অর্থ জমা পড়েছে সেখানে।

 

পাশাপাশি গত বছর রাশিয়ার বাণিজ্যও সাত শতাংশ বেড়েছে। রুশ অর্থনীতিবিদরা দাবি করছেন, চীন ছাড়া আর কোনও দেশের পক্ষে এমন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এই উন্নতি সম্ভব হত না। আলেকজান্ডার ডানকিন নামের এক অর্থনীতিবিদ মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ”আমরা শক্তির উৎসের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর। খাদ্য ও কাঁচা মালের ক্ষেত্রেও তাই। তাছাড়া আমাদের দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। বিজ্ঞানেও বিশ্বমানের।” সব মিলিয়ে এই আত্মবিশ্বাস ও পুতিনের সঠিক কৌশলেই বাজিমাত রাশিয়ার, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।