ইমরান খান ও তার স্ত্রী কে ১৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত

  • আপডেট: ০১:৫১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • 28

রাষ্ট্রীয় উপহার বা তোশাখানা সংক্রান্ত নতুন একটি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৫ দিনের রিমান্ড (বিচারিক হেফাজত) মঞ্জুর করেছে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আদালত।

সোমবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আগামী ২ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে হাজির করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে অপর একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। গত ৮ আগস্ট তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

ইমরান খানকে গত বছরের ৯ মে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে তার সমর্থকরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালায়। ওই হামলার ঘটনায় ইমরান খানকে অভিযুক্ত করে তাকে ক্ষমা চাইতে বলে সেনাবাহিনী।

তবে বারবার ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন ইমরান। ওই সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপে বসতেও রাজি ছিলেন না সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

তবে সম্প্রতি তিনি তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। এখন সরকার নয়, সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। তার ভাষায়, সরকারের সঙ্গে আলোচনা একটি নিরর্থক অনুশীলন। তাই তিনি শুধু ‘প্রকৃত কর্তৃপক্ষের’ সঙ্গেই আলোচনা করবেন।

এদিকে নতুন তোশাখানা মামলার শুনানি চলাকালে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) বিভিন্ন প্রশ্নের লিখিত জবাব দেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি।

ইদ্দত মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত খালাস দেওয়ার পরই, তাদের বিরুদ্ধে নতুন এ তোশাখানা মামলাটি দেওয়া হয়। সূত্র: জিও নিউজ

Tag :

ইমরান খান ও তার স্ত্রী কে ১৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত

আপডেট: ০১:৫১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

রাষ্ট্রীয় উপহার বা তোশাখানা সংক্রান্ত নতুন একটি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৫ দিনের রিমান্ড (বিচারিক হেফাজত) মঞ্জুর করেছে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আদালত।

সোমবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আগামী ২ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে হাজির করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে অপর একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। গত ৮ আগস্ট তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

ইমরান খানকে গত বছরের ৯ মে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে তার সমর্থকরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালায়। ওই হামলার ঘটনায় ইমরান খানকে অভিযুক্ত করে তাকে ক্ষমা চাইতে বলে সেনাবাহিনী।

তবে বারবার ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন ইমরান। ওই সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপে বসতেও রাজি ছিলেন না সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

তবে সম্প্রতি তিনি তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। এখন সরকার নয়, সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। তার ভাষায়, সরকারের সঙ্গে আলোচনা একটি নিরর্থক অনুশীলন। তাই তিনি শুধু ‘প্রকৃত কর্তৃপক্ষের’ সঙ্গেই আলোচনা করবেন।

এদিকে নতুন তোশাখানা মামলার শুনানি চলাকালে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) বিভিন্ন প্রশ্নের লিখিত জবাব দেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি।

ইদ্দত মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত খালাস দেওয়ার পরই, তাদের বিরুদ্ধে নতুন এ তোশাখানা মামলাটি দেওয়া হয়। সূত্র: জিও নিউজ