আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা ব্যক্তিকে গুম-খুনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখা হয় সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে। এ ছাড়া আয়নাঘরের ‘জনক’, ফোনকলে আড়িপাতা, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড ছাড়াও হেফাজতের ঘটনায় যৌথ অভিযানে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ঢাকা কলেজের সামনে ছাত্র ও হকার হত্যা মামলায় বর্তমানে রিমান্ডে আছেন তিনি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগ সরকারের করা গুম-খুনসহ অনেক স্পর্শকাতর বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) এই সাবেক মহাপরিচালক।
জিয়াউল আহসান বলেন, ‘আমি নিজ উদ্যোগে কিছুই করিনি। আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমি সেভাবেই কাজ করেছি। আমার কাছে নির্দেশনা আসত একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে। কিছু কিছু বিষয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নির্দেশনা দিতেন।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের সব দোষ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়ের জামাই তারেক সাঈদের। ওই সময় র্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার ছিলেন তারেক। মন্ত্রীর মেয়ের জামাই হওয়ার কারণে ওই সময় তার ওপর কেউ কথা বলতে পারতেন না।’
জিয়াউল আহসান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে সাতজন নিখোঁজ হওয়ার পরপরই তাদের খুঁজে বের করতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) মোখলেসুর রহমান। প্রথমদিকে র্যাব-১১-এর কয়েকজন আমার কাছে সাত খুনের বিষয়টি স্বীকার করেন। কিন্তু তারেক সাঈদ স্বীকার করেননি।’
আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে সুবিধা দিতেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশেই বহুল আলোচিত সাত খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ডিবিকে জানিয়েছেন জিয়াউল আহসান।