রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছেন। যদিও এর আগে তিনি কুরস্ক অঞ্চলে কিয়েভের আক্রমণের সময় আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
ইউক্রেন আগস্ট মাসে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে এক অভূতপূর্ব আন্ত সীমান্ত আক্রমণ চালায়, হাজার হাজার সেনা সীমান্ত অতিক্রম করে এবং কয়েকটি গ্রাম দখল করে। পুতিন এরপর বলেন, আলোচনার কোনো প্রশ্নই আসে না।
এদিন ভ্লাদিভোস্তক শহরে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক ফোরামের প্রশ্নোত্তর সেশনে পুতিন বলেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে ২০২২ সালে ইস্তানবুলে মস্কো ও কিয়েভের আলোচকরা ঐকমত্যে পৌঁছা বাতিল চুক্তির ভিত্তিতে, যার শর্তাবলি কখনো প্রকাশ করা হয়নি।
পুতিন বলেন, ‘আমরা কি তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত? আমরা কখনো এটি অস্বীকার করিনি। তবে কিছু ক্ষণস্থায়ী দাবির ভিত্তিতে নয়। বরং ইস্তানবুলে সম্মত ও শুরু হওয়া নথির ভিত্তিতে।
ক্রেমলিন বারবার দাবি করেছে, ২০২২ সালের বসন্তে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পরপরই রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ছিল। পুতিন বলেন, ‘আমরা একটি চুক্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিলাম, এটাই মূল বিষয়। এই নথিতে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান স্বাক্ষর করেছিলেন।
তিনিই এই নথির সূচনা করেছিলেন। এটি প্রমাণ করে, ইউক্রেনীয় পক্ষ সাধারণত চুক্তিগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি (চুক্তি) কার্যকর হয়নি। একমাত্র কারণ, তাদের এটি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের, ইউরোপের, কিছু ইউরোপীয় দেশের অভিজাতরা রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করতে চেয়েছিল।