ব্যাপক বিক্ষোভ পিটিআইয়ের, আটক ১৩ আইনপ্রণেতা

  • আপডেট: ১১:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 13

সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদে বিশাল সমাবেশ করেছে তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। রাজধানীতে পিটিআইয়ের সমাবেশের একদিন পর মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে পিটিআইয়ের কয়েকজন আইনপ্রণেতাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

২০২২ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন ৭১ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান। দেশটির সামরিক বাহিনীর জেনারেলদের সাথে মতবিরোধ ঘিরে তৈরি হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন তিনি।

পুলিশ চারজনকে আটক করেছে বলে জানালেও পিটিআইয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দলের অন্তত ১৩ জন আইনপ্রণেতাকে ইসলামাবাদের বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সংসদের বাইরে থেকে আটক করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সংসদের বাইরে আটকে পড়া আইনপ্রণেতাদের ঠেলে গাড়িতে তুলছে পুলিশ। সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব খান এই দৃশ্যকে ‘‘ঘৃণ্য’’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইমরান খানের সহযোগী জুলফিকার বুখারি বলেছেন, গতকালের ব্যাপক বিক্ষোভ সরকারের মেরুদণ্ডে কাঁপুনি ধরিয়েছে। আইনপ্রণেতাদের আটকের ঘটনাকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গহর খান ও জ্যেষ্ঠ নেতা শোয়েব শাহীন ও দলের আরেক মুখপাত্র শের আফজাল মারওয়াতকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন বুখারি। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে জয় পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি দলটি। ওই সময় ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন জোট গঠনের পরিবর্তে নতুন জোট গড়েন।

পুলিশ বলেছে, ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পিটিআইয়ের সমাবেশে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এই হামলায় পুলিশের এক সদস্য আহত হওয়ায় সন্দেহভাজন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে পিটিআই বলছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করায় সমাবেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

Tag :

ব্যাপক বিক্ষোভ পিটিআইয়ের, আটক ১৩ আইনপ্রণেতা

আপডেট: ১১:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদে বিশাল সমাবেশ করেছে তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। রাজধানীতে পিটিআইয়ের সমাবেশের একদিন পর মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে পিটিআইয়ের কয়েকজন আইনপ্রণেতাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

২০২২ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন ৭১ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান। দেশটির সামরিক বাহিনীর জেনারেলদের সাথে মতবিরোধ ঘিরে তৈরি হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন তিনি।

পুলিশ চারজনকে আটক করেছে বলে জানালেও পিটিআইয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দলের অন্তত ১৩ জন আইনপ্রণেতাকে ইসলামাবাদের বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সংসদের বাইরে থেকে আটক করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সংসদের বাইরে আটকে পড়া আইনপ্রণেতাদের ঠেলে গাড়িতে তুলছে পুলিশ। সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব খান এই দৃশ্যকে ‘‘ঘৃণ্য’’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইমরান খানের সহযোগী জুলফিকার বুখারি বলেছেন, গতকালের ব্যাপক বিক্ষোভ সরকারের মেরুদণ্ডে কাঁপুনি ধরিয়েছে। আইনপ্রণেতাদের আটকের ঘটনাকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গহর খান ও জ্যেষ্ঠ নেতা শোয়েব শাহীন ও দলের আরেক মুখপাত্র শের আফজাল মারওয়াতকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন বুখারি। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে জয় পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি দলটি। ওই সময় ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন জোট গঠনের পরিবর্তে নতুন জোট গড়েন।

পুলিশ বলেছে, ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পিটিআইয়ের সমাবেশে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এই হামলায় পুলিশের এক সদস্য আহত হওয়ায় সন্দেহভাজন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে পিটিআই বলছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করায় সমাবেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।