এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি আরেক ফ্যাসিস্টকে জায়গা দিতে নয়: সারজিস আলম

  • আপডেট: ০১:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 17

সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমরা এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্য ফ্যাসিস্টকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য নয়।

তিনি বলেন, কেউ যদি এখনও দিবা স্বপ্নে কিংবা ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে আবারও ছাত্র জনতাকে ডমিনেট করে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবে, তারা যেন ওই শেখ হাসিনাকে দেখে শিক্ষা নেয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে ছাত্র-নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ভূমি অফিস, হাসপাতালসহ সরকারি দপ্তরে দালালি আর টাকা দিয়ে কাজ করার জন্য জনতার ওষুধ আপনাদের কোম্পানির কাছে বিক্রি করার জন্য ছাত্র-জনতা এ অভ্যুত্থান ঘটায়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটি করেছেন, তিনি তার আওয়ামী লীগকেই শুধু ফ্যাসিস্ট বানাননি, বাংলাদেশকেই শুধু ফ্যাসিস্ট বানাননি, তিনি ফ্যাসিস্ট বানিয়েছেন আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে। এ জায়গা থেকে আমাদের উত্তোরণ ঘটাতে হবে।

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমার ভাই যখন রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে, তখন সেই হামলাকারী কতিপয় পুলিশ কিভাবে উন্মুক্ত রাস্তায় ঘোরাফেরা করে। ওই ফাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, চাটুকার, তেলবাজ তোষামোদকারী যেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছে, তারা যদি নিজেদের শুধরে না নেয়, তাহলে নেত্রী হাসিনার মতোই তাদের দেশত্যাগ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, আগামীর যে বাংলাদেশ হবে, সেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব শিক্ষার্থীরা দেবে।

এ সময় তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা চাই আপনি ওই সংসদে গিয়ে কথা বলবেন। আপনি একজন এমপি হবেন, একজন মন্ত্রী হবেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। আপনাদের ওই সংসদে একজন পলিসি মেকার হিসেবে যেতে হবে। কারণ সব কিছু হয় সংসদ থেকেই এবং সব পলিসি মেকিং হয় ওই সংসদ থেকেই। টাঙ্গাইলের মেধাবী তরুণ প্রজন্ম যদি সংসদে প্রতিনিধিত্ব না করে, তাহলে কারা করবে?

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য সারজিস বলেন, আপনারা অভিভাবকরা যেমন স্বপ্ন দেখতেন, আপনার ছেলে শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, ম্যাজিস্ট্রেট হবে, তেমনি আপনি স্বপ্ন দেখবেন আপনার ছেলে দেশের অন্যতম সেরা একজন রাজনীতিবিদ হয়ে উঠবে।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ইফফাত রাইসা নুহার সঞ্চালনা এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকার সমন্বয়ক আব্দুল্ল্যাহ সালেহীন অয়ন, মোবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, মিতু আক্তার, রাকিবুল হাসান, রফিকুল ইসলাম আইনী ও ইলমা খন্দকার এ্যানি প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলার সমন্বয়কসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

Tag :

স্বামী ঝুলছিলেন ফ্যানে, স্ত্রী সহ দুই সন্তানের রক্তাক্ত লাশ পরে ছিলো বিছানায়

এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি আরেক ফ্যাসিস্টকে জায়গা দিতে নয়: সারজিস আলম

আপডেট: ০১:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমরা এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্য ফ্যাসিস্টকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য নয়।

তিনি বলেন, কেউ যদি এখনও দিবা স্বপ্নে কিংবা ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে আবারও ছাত্র জনতাকে ডমিনেট করে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবে, তারা যেন ওই শেখ হাসিনাকে দেখে শিক্ষা নেয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে ছাত্র-নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ভূমি অফিস, হাসপাতালসহ সরকারি দপ্তরে দালালি আর টাকা দিয়ে কাজ করার জন্য জনতার ওষুধ আপনাদের কোম্পানির কাছে বিক্রি করার জন্য ছাত্র-জনতা এ অভ্যুত্থান ঘটায়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটি করেছেন, তিনি তার আওয়ামী লীগকেই শুধু ফ্যাসিস্ট বানাননি, বাংলাদেশকেই শুধু ফ্যাসিস্ট বানাননি, তিনি ফ্যাসিস্ট বানিয়েছেন আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে। এ জায়গা থেকে আমাদের উত্তোরণ ঘটাতে হবে।

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমার ভাই যখন রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে, তখন সেই হামলাকারী কতিপয় পুলিশ কিভাবে উন্মুক্ত রাস্তায় ঘোরাফেরা করে। ওই ফাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, চাটুকার, তেলবাজ তোষামোদকারী যেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছে, তারা যদি নিজেদের শুধরে না নেয়, তাহলে নেত্রী হাসিনার মতোই তাদের দেশত্যাগ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, আগামীর যে বাংলাদেশ হবে, সেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব শিক্ষার্থীরা দেবে।

এ সময় তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা চাই আপনি ওই সংসদে গিয়ে কথা বলবেন। আপনি একজন এমপি হবেন, একজন মন্ত্রী হবেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। আপনাদের ওই সংসদে একজন পলিসি মেকার হিসেবে যেতে হবে। কারণ সব কিছু হয় সংসদ থেকেই এবং সব পলিসি মেকিং হয় ওই সংসদ থেকেই। টাঙ্গাইলের মেধাবী তরুণ প্রজন্ম যদি সংসদে প্রতিনিধিত্ব না করে, তাহলে কারা করবে?

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য সারজিস বলেন, আপনারা অভিভাবকরা যেমন স্বপ্ন দেখতেন, আপনার ছেলে শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, ম্যাজিস্ট্রেট হবে, তেমনি আপনি স্বপ্ন দেখবেন আপনার ছেলে দেশের অন্যতম সেরা একজন রাজনীতিবিদ হয়ে উঠবে।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ইফফাত রাইসা নুহার সঞ্চালনা এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকার সমন্বয়ক আব্দুল্ল্যাহ সালেহীন অয়ন, মোবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, মিতু আক্তার, রাকিবুল হাসান, রফিকুল ইসলাম আইনী ও ইলমা খন্দকার এ্যানি প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলার সমন্বয়কসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।