সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে গঠিত পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য দুই দিন সময় বেঁধে দিয়েছে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. রুমান কবির।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত কমিটি বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি করেনি সরকার। আমরা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, তাদের সুপারিশের পর প্রজ্ঞাপনের দায়িত্ব সরকারের। গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারির কথা ছিল কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। আগামীকাল রবিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন যদি না দেওয়া হয় তাহলে সোমবার সকাল ১১টায় কঠোর কর্মসূচিতে ঘোষণা করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারিতে দীর্ঘায়িত করা হয় তাহলে চাকরি প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নেমে আসবে। ফলে স্বৈরাচারের দোসররা আন্দোলনকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করবে। তারা আমাদের ব্রেনওয়াশ করতে চাইবে। সুতারং শিক্ষার্থীদেরকে বারবার মাঠে নামিয়ে স্বৈরাচারের দোসরদের সুযোগ করে দিবেন না। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে একদল চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থী। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও ৩৫ করার দাবি তাদের। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবি একাধিকবার নাকচ করে দেয়। শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি ফের জোরালো হলে ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ১৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ এবং নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান এ বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।