পোশাকশিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে ক্ষতি হয়েছে ৪৮০০ কোটি টাকা: বিজিএমইএ

  • আপডেট: ০১:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • 46

দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে শ্রমিক অসন্তোষে প্রায় চার হাজার ৮০০ কোটি টাকার (৪০০ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) পোশাকশিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক কারখানাসমূহের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সিএনজি স্টেশন হতে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিতে হবে।

তিনি পোশাকশিল্পে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা ও বিদ্যুতের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণসহ একটি টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি প্রণয়নের দাবি জানান।

ব্যাংক ঋণের সুদ হার বৃদ্ধির কারণে তৈরি পোশাকশিল্প সমস্যায় পড়ছে; সেজন্য ব্যাংক ঋণের সুদ হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর দাবি জানিয়ে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, সব ধরনের ঋণের বিপরীতে ঋণ শ্রেণিকরণ না করা এবং ঋণ পরিশোধে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত তিন কিস্তি পরিশোধ না করলে খেলাপি করার নির্দেশনা বদলে ছয় কিস্তি করতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য লোডিং ও আনলোডিংয়ে অহেতুক সময়ক্ষেপণ বন্ধ করা, এই ক্রান্তিকালে পরবর্তী তিন মাসের জন্য কারখানার ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার দাবি জানান বিজিএমইএর সভাপতি।

খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, পোশাকখাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রণোদনা পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা, ঝুটসহ অন্যান্য রিসাইকেলিং উপযোগী বর্জ্য অপসারণকে বাইরের প্রভাবমুক্ত রাখা ও শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে হবে।

Tag :

পোশাকশিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে ক্ষতি হয়েছে ৪৮০০ কোটি টাকা: বিজিএমইএ

আপডেট: ০১:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে শ্রমিক অসন্তোষে প্রায় চার হাজার ৮০০ কোটি টাকার (৪০০ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) পোশাকশিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক কারখানাসমূহের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সিএনজি স্টেশন হতে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিতে হবে।

তিনি পোশাকশিল্পে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা ও বিদ্যুতের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণসহ একটি টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি প্রণয়নের দাবি জানান।

ব্যাংক ঋণের সুদ হার বৃদ্ধির কারণে তৈরি পোশাকশিল্প সমস্যায় পড়ছে; সেজন্য ব্যাংক ঋণের সুদ হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর দাবি জানিয়ে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, সব ধরনের ঋণের বিপরীতে ঋণ শ্রেণিকরণ না করা এবং ঋণ পরিশোধে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত তিন কিস্তি পরিশোধ না করলে খেলাপি করার নির্দেশনা বদলে ছয় কিস্তি করতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য লোডিং ও আনলোডিংয়ে অহেতুক সময়ক্ষেপণ বন্ধ করা, এই ক্রান্তিকালে পরবর্তী তিন মাসের জন্য কারখানার ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার দাবি জানান বিজিএমইএর সভাপতি।

খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, পোশাকখাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রণোদনা পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা, ঝুটসহ অন্যান্য রিসাইকেলিং উপযোগী বর্জ্য অপসারণকে বাইরের প্রভাবমুক্ত রাখা ও শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে হবে।