ওলামা-মাশায়েখদের ৯ দফা ঘোষণা

  • আপডেট: ১১:৫২:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • 10

ছবি : সংগৃহীত

সর্বস্তরের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক, তাবলীগের সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জোবায়ের হাসানের অনুসারী শীর্ষস্থানীয় আলেম ও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলন থেকে এসব দাবি উপস্থাপন করেন শায়খুল হাদিস পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।

জোবায়েরপন্থীদের দাবি, মাওলানা সাদের অনুসারীরা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সহিংসতা করার ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে আলেম-ওলামারা তাদের সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিতেও প্রস্তুত আছে।

১. কওমি শিক্ষাকে দারুল ওলুম দেলবন্দের আওতায় পরিচালনা করতে হবে এবং তাবলিগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।

২. সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৩. আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৪. শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িত আসামিদের দেশে এনে শাস্তি নিশ্চিত এবং সারাদেশে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৫. ২০১৮ সালে টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থীদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে।

৬. সাদপন্থীরা নবী করিম সা:-সহ সাহাবীদের সমালোচনা করে আসছে। সাদ তাবলিগের নীতিমালা উপেক্ষা করে আসছে। তাই দারুল উলুম দেলবন্দ সাদ সাহেবকে দেশে আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই আসতে দেয়া হবে না।

৭. আলেমপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকারঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে। এর মধ্যে আগামী বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২৭-২৮-২৯ জানুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব ৭-৮-৯ ফেব্রুয়ারি করার ঘোষণা করা হলো। এ বিষয়ে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

৮. কাকরাইল মসজিদ সাদপন্থীদের কোনো কার্যক্রম চালাতে দেয়া হবে না। কাকরাইল আজ থেকে কেবলমাত্র শুরায়ি নেজামে পরিচালিত হবে।

৯. অভিশপ্ত কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ‘দাওয়াত ও তবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ এ মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনে যোগ দিতে ফজরের নামাজের পর থেকে পুরো দেশ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হয়েছেন আলেম-ওলামারা। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুরো মাঠ মুসল্লিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মহাসম্মেলনে যোগ দেয়া তাবলীগের দু’গ্রুপের বিভক্তি নিয়ে অনুসারিদের মাঝে নানা দ্বন্দ্ব দেখা যায়। সম্মেলনে দু’গ্রুপের বক্তার একে অন্যকে বাতিল বলে দাবি করতে শোনা যায়। পাশাপাশি দাওয়াত ও তাবলিগ, কওমি মাদরাসা এবং দীনের হেফাজতের বিষয় নিয়েও আলোচনা শোনা যায়।

Tag :

ওলামা-মাশায়েখদের ৯ দফা ঘোষণা

আপডেট: ১১:৫২:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

সর্বস্তরের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক, তাবলীগের সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জোবায়ের হাসানের অনুসারী শীর্ষস্থানীয় আলেম ও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলন থেকে এসব দাবি উপস্থাপন করেন শায়খুল হাদিস পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।

জোবায়েরপন্থীদের দাবি, মাওলানা সাদের অনুসারীরা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সহিংসতা করার ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে আলেম-ওলামারা তাদের সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিতেও প্রস্তুত আছে।

১. কওমি শিক্ষাকে দারুল ওলুম দেলবন্দের আওতায় পরিচালনা করতে হবে এবং তাবলিগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।

২. সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৩. আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৪. শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িত আসামিদের দেশে এনে শাস্তি নিশ্চিত এবং সারাদেশে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৫. ২০১৮ সালে টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থীদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে।

৬. সাদপন্থীরা নবী করিম সা:-সহ সাহাবীদের সমালোচনা করে আসছে। সাদ তাবলিগের নীতিমালা উপেক্ষা করে আসছে। তাই দারুল উলুম দেলবন্দ সাদ সাহেবকে দেশে আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই আসতে দেয়া হবে না।

৭. আলেমপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকারঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে। এর মধ্যে আগামী বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২৭-২৮-২৯ জানুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব ৭-৮-৯ ফেব্রুয়ারি করার ঘোষণা করা হলো। এ বিষয়ে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

৮. কাকরাইল মসজিদ সাদপন্থীদের কোনো কার্যক্রম চালাতে দেয়া হবে না। কাকরাইল আজ থেকে কেবলমাত্র শুরায়ি নেজামে পরিচালিত হবে।

৯. অভিশপ্ত কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ‘দাওয়াত ও তবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ এ মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনে যোগ দিতে ফজরের নামাজের পর থেকে পুরো দেশ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হয়েছেন আলেম-ওলামারা। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুরো মাঠ মুসল্লিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মহাসম্মেলনে যোগ দেয়া তাবলীগের দু’গ্রুপের বিভক্তি নিয়ে অনুসারিদের মাঝে নানা দ্বন্দ্ব দেখা যায়। সম্মেলনে দু’গ্রুপের বক্তার একে অন্যকে বাতিল বলে দাবি করতে শোনা যায়। পাশাপাশি দাওয়াত ও তাবলিগ, কওমি মাদরাসা এবং দীনের হেফাজতের বিষয় নিয়েও আলোচনা শোনা যায়।