আমাদের শুনতে হয় সেই কালপিট : সারজিস

  • আপডেট: ০১:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • 5

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, আজকের এ বাংলাদেশে আমাদের শুনতে হয় সেই কালপিট, সেই নরপিশাচরা যখন প্রশ্ন তুলে বলে, স্নিগ্ধ আর মুগ্ধ এক ব্যক্তি। তখন আমাদের মনে হয় সেই নরপিশাচরা এত বড় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে, ওদের প্রত্যেককে প্রতিদিন শহীদ পরিবারের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, প্রায় দুই হাজার মানুষকে খুন করার সেই ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। প্রায় অর্ধ লাখ মানুষকে রক্তাক্ত করা, শত শত ভাই-বোনকে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে না দেওয়া, শত-শত বীর যোদ্ধা রয়েছে যারা আর নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না, শত শত বীর যোদ্ধা আছে তারা আর কোনো দিন নিজের বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিজের হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরতে পারবে না- সেই নরপিশাচদের আমাদের সহযোদ্ধাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এখনও বিভিন্ন জায়গায় ব্যত্যয় দেখি। কারণ বিগত ১৬ বছরে এ সুবিধাভোগীরা ছিল। এখনও তারা বিভিন্ন চেহারায়, বিভিন্ন রূপে ঘাপটি মেরে আছে, না হয় গিরগিটির মতো রূপ পাল্টে রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে বিভিন্ন সিস্টেমে আমরা যখন যাই। রাষ্ট্র কাঠামোর যৌক্তিক দাবি নিয়ে, ওই মানুষগুলো এখনও তাদের জায়গা থেকে বিভিন্ন অবহেলা দেখায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, আমরা যখন শহীদ পরিবার ও সহযোদ্ধাদের ফাইল নিয়ে সচিবালয়ে যাই, তখন আমাদের টেবিলে-টেবিলে গিয়ে সামনে দাঁড়াতে হয়। এখনও অনেকে রয়েছেন রাষ্ট্র কাঠামোতে, তারা চায় না এ অভ্যুত্থান টিকে থাকুন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ
প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থীর পরিবারকে অনুষ্ঠানে ৮ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।

Tag :

স্বামী ঝুলছিলেন ফ্যানে, স্ত্রী সহ দুই সন্তানের রক্তাক্ত লাশ পরে ছিলো বিছানায়

আমাদের শুনতে হয় সেই কালপিট : সারজিস

আপডেট: ০১:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, আজকের এ বাংলাদেশে আমাদের শুনতে হয় সেই কালপিট, সেই নরপিশাচরা যখন প্রশ্ন তুলে বলে, স্নিগ্ধ আর মুগ্ধ এক ব্যক্তি। তখন আমাদের মনে হয় সেই নরপিশাচরা এত বড় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে, ওদের প্রত্যেককে প্রতিদিন শহীদ পরিবারের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, প্রায় দুই হাজার মানুষকে খুন করার সেই ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। প্রায় অর্ধ লাখ মানুষকে রক্তাক্ত করা, শত শত ভাই-বোনকে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে না দেওয়া, শত-শত বীর যোদ্ধা রয়েছে যারা আর নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না, শত শত বীর যোদ্ধা আছে তারা আর কোনো দিন নিজের বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিজের হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরতে পারবে না- সেই নরপিশাচদের আমাদের সহযোদ্ধাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এখনও বিভিন্ন জায়গায় ব্যত্যয় দেখি। কারণ বিগত ১৬ বছরে এ সুবিধাভোগীরা ছিল। এখনও তারা বিভিন্ন চেহারায়, বিভিন্ন রূপে ঘাপটি মেরে আছে, না হয় গিরগিটির মতো রূপ পাল্টে রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে বিভিন্ন সিস্টেমে আমরা যখন যাই। রাষ্ট্র কাঠামোর যৌক্তিক দাবি নিয়ে, ওই মানুষগুলো এখনও তাদের জায়গা থেকে বিভিন্ন অবহেলা দেখায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, আমরা যখন শহীদ পরিবার ও সহযোদ্ধাদের ফাইল নিয়ে সচিবালয়ে যাই, তখন আমাদের টেবিলে-টেবিলে গিয়ে সামনে দাঁড়াতে হয়। এখনও অনেকে রয়েছেন রাষ্ট্র কাঠামোতে, তারা চায় না এ অভ্যুত্থান টিকে থাকুন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ
প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থীর পরিবারকে অনুষ্ঠানে ৮ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।